রাষ্ট্রধর্মের তাৎপর্য সম্পর্কে কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে। কেউ কেউ বলেছেন, রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। কেবল ব্যক্তির ধর্ম থাকে। আসল বিষয়টি না বোঝার কারণেই এ কথার অবতারণা করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রের চলার জন্য কোনো আদর্শ থাকবে কি না। তার কোনো মৌলিক নীতিমালার প্রয়োজন আছে কি না। আধুনিক ইতিহাসে দেখতে পাই, রাষ্ট্রের সংবিধানে নানা আদর্শের কথা বলা থাকে। অনেক সংবিধানে রয়েছে গণতন্ত্রের উল্লেখ। অনেক সংবিধানে কমিউনিজমকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ ঘোষণা করা হয়, অর্থাৎ রাষ্ট্র কমিউনিজমের নীতিমালা অনুসরণ করবে। অনেক সংবিধানে সোশ্যালিজমের কথা বলা হয়। কিছু সংবিধানে সেকুøলরিজমকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ বা অন্যতম রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, যেসব রাষ্ট্রে কমিউনিজমকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ ঘোষণা করা হয়েছে, সেসব রাষ্ট্রে সবাই কমিউনিস্ট নয়। আবার যেসব রাষ্ট্রে সেকুøলারিজমকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ ঘোষণা করা হয়েছে, সেসব রাষ্ট্রে সবাই সেকুøলার নয়, তারা সেকুøলারিজমের (রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ধর্ম বাদ দেয়া) নীতিতে বিশ্বাস করে না। রাষ্ট্রীয় আদর্শ হওয়ার জন্য এটা জরুরি নয় যে, একশত ভাগ লোককে সে আদর্শে বিশ্বাসী হতে হবে।
বিংশ শতাব্দীতে বেশির ভাগ মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ রাষ্ট্র তার আইন, প্রশাসন, অর্থনীতি এসব ক্ষেত্রে ইসলামকে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করবে। ইসলাম যেহেতু একটি জীবনব্যবস্থা এবং কেবল আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়, তাই ওই সব দেশ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা সঙ্গত মনে করেছে। তাদের কাছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অর্থ রাষ্ট্রের নামাজ পড়া নয়, রোজা পালন নয়, হজ করা নয়। তার অর্থ রাষ্ট্রের ইসলামি আইন অনুসরণ করা। ইসলামি আইনের অন্যতম দিক হচ্ছে অমুসলিমদের সব নাগরিক অধিকার প্রদান; যেমন রাসূল সাঃ মদিনা সনদের মাধ্যমে অমুসলিম নাগরিকদের প্রদান করেছিলেন।
সুতরাং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বিষয়টিকে না বুঝে যেভাবে তার বিরুদ্ধে যুক্তি দাঁড় করানো হচ্ছে, তা সঙ্গত নয় মোটেও। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্র ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম না করে অন্যভাবে ইসলামকে রাষ্ট্রের ভিত্তি বানিয়েছে। যেমন ইরান নিজেকে ইসলামিক রিপাবলিক বা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছে এবং কুরআন ও সুন্নাহকে আইনের ভিত্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। একই ব্যাপার ঘটেছে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে। তারাও দেশকে ইসলামিক রিপাবলিক এবং কুরআন ও সুন্নাহকে আইনের উৎস ঘোষণা করেছে। মদিনাভিত্তিক ইসলামি রাষ্ট্রে ইসলামিক রিপাবলিক বা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছিল না। কিন্তু সেখানে সম্পূর্ণ আইন ছিল কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক। বিচারকরা ইসলামি শরিয়তের ভিত্তিতে বিচার করতেন। শাসকেরা ইসলামি মূল্যবোধের এবং আইনের ভিত্তিতে দেশ চালাতেন। অবশ্য পরে ইসলামের খেলাফতব্যবস্থা পরিবারভিত্তিক হয়ে যায় (যা যথার্থ ছিল না)। কিন্তু রাষ্ট্রের অন্য সব কিছু ইসলামি নীতিমালাভিত্তিক ছিল, আইন ও বিচার তো অবশ্যই।
এ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মনে করি, বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মুসলিম রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলাম পরিত্যাগ করতে চান না। কুরআনও তাদের পূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করতে বলেছে।
আরো উল্লেখ করা যায়, পাশ্চাত্যের অন্তত চল্লিশটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্রে রাষ্ট্রধর্ম হয় ক্যাথলিক বা প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টবাদ। এর অর্থ হচ্ছে, দেশগুলো ওই সব ধর্মের নীতিবোধ ও মূল্যমান অনুসরণ করবে। সুতরাং মুসলিম বিশ্বে অনেক দেশে যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হয়েছে বা বাংলাদেশে করা হয়েছে, তা সঙ্গতই হয়েছে।
আজাদি একটি বিশাল নিয়ামত এবং জীবনের অনিবার্য প্রয়োজন। এর জন্য যেত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করা হবে সেটাও ব্যাপক সমাদৃত। আমাদের ওইসব পথপ্রদর্শকেরওকৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।কিন্তু আমি পরিষ্কারভাবে এ কথা আরজ করতে চাই, যে সিদ্ধান্ত ও শক্তির বদৌলতে আমরাগোলামির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছি, সেই সিদ্ধান্ত এবং শক্তিকে যদি এর চেয়েওবাস্তবিক ও পূর্ণাঙ্গ আজাদি অর্থাত্ মানবিকতা গঠন ও উন্নয়ন এবং মানুষকে মানুষবানানোর কাজে ব্যয় করি, তবে এটি হবে দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সমস্যা এবংসঙ্কটের চিরস্থায়ী সমাধান।
আমি আজাদি আন্দোলনের প্রতি অবজ্ঞা বা না-শোকরি করছিনা, তবে এটা না বলেও পারছি না যে, দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং মানবতারসবচেয়ে বড় খেদমত হচ্ছে, মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে যাওয়া। এছাড়া স্বাধীনতা ওস্বাধিকারের পরও জীবনের প্রকৃত তাত্পর্য, প্রশস্তি এবং স্বচ্ছন্দ হাসিল হয় না।বিক্ষিপ্ততা, টানাপড়েন এবং অস্বস্তি দূর হয় না। বিপদাপদ, ব্যতিব্যস্ততা ও অপমানশুধু অন্যের আকৃতিতেই আসে না, কখনও নিজের থেকেই এর স্ফুরণ ঘটে। জুুলুম-নির্যাতন ওলুটতরাজের জন্য ভিনদেশি হওয়া শর্ত নয়। একই দেশে অবস্থানকারী দ্বারা কখনও এ কাজসংঘটিত হতে পারে। গোলামির প্রতি ঘৃণা আমারও কম নয়। কিন্তু আবেগ ও মোহ থেকে আলাদাহয়ে একটু চিন্তা করুন! আমরা ইংরেজদের কেন শত্রু মনে করতাম? গোলামির প্রতি আমাদেরঘৃণা কেন ছিল? এজন্য যে, জীবনের প্রকৃত তাত্পর্য আমাদের সহায়ক ছিল না। আমাদের কোনোস্বস্তি ছিল না। জীবনের প্রয়োজন পূরণ সহজসাধ্য ছিল না। আমরা সহমর্মিতা, একনিষ্ঠতা, সহযোগিতাবোধ এবং প্রেম-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত ছিলাম, যাতে অতীত জীবন হয় তিক্ত এবং এদুনিয়ার জেলখানাসদৃশ। মনে করুন! যদি বাইরের গোলামির অবসান ঘটে কিন্তু আমাদেরনিজেদের মধ্যেই একে অপরকে গোলাম বানানোর প্রবণতা চালু হয়ে গেল। আমাদের পরস্পরেজুলুমের স্বাদ অনুভূত হতে লাগল। আমরাও একে অন্যের অপরিচিত, অজ্ঞাত। সহযোগিতা ওসহমর্মিতা থেকে অনেক দূরে। এক শহরের লোক অন্য শহরের লোকের সঙ্গে এমন আচরণ করতেইউদ্বুদ্ধ হচ্ছি, শুধু সুযোগের প্রত্যাশায় আছি, যা বিজয়ী গোলামের সঙ্গে এবং শত্রুরসঙ্গে করে। আমরা আমাদের সঞ্চিত সম্পদে অন্যের অপরিহার্য প্রয়োজনীয় সম্পদটুকু ঢুকিয়েদেয়ার পাঁয়তারায় লিপ্ত। এ ধরনের মানসিকতা দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কোরআনে কারিমএটাকে একটি ঘটনার দ্বারা বিবৃত করেছে।কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, হজরত দাউদের (আ.)কাছে দু’পক্ষ মোকদ্দমা নিয়ে এলো। একজনে বলল, হে আল্লাহর নবী! হে বাদশা! আপনিঅনুগ্রহ করে আমাদের প্রতি একটু ইনসাফ করুন। আমার এ ভাইয়ের কাছে ৯৯টি ভেড়া আছে, আমারআছে মাত্র একটি ভেড়া। কিন্তু এই জালেম বলছে, আমি যেন তাকে আমার ভেড়াটিও দিয়ে দিই, তবে তার শত পুরো হবে। আমি আপনার কাছে জানতে চাই, যদি কোনো রাষ্ট্রে বা শহরে এ ধরনেরমনোভাবের প্রসার ঘটে, তবে কি স্বাধীনতার প্রকৃত সম্পদ সেখানে বাস্তবে রক্ষিত আছে? বিষয়টি কি এমন নয় যে, উপনিবেশগোষ্ঠী যে আচরণ করত সেটাই স্বজাতি, প্রতিবেশীর দ্বারাকরা হচ্ছে। পরাধীনতার সব শৃঙ্খলই কি এখানে কোনো না কোনোভাবে বিদ্যমান নয়? এসব কিছুএজন্য যে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য প্রাণপণে লড়াই করে দেশের স্বাধীনতাঅর্জিত হয়েছে। কিন্তু মানুষের মন-মগজ এবং তার আত্মার প্রশস্ত
র জন্য কোনো চেষ্টাকরা হয়নি। ফলে সেগুলো যথারীতি গোলামই রয়ে গেছে। দেশ থেকে জালেম বিতাড়িত করা হয়েছে, কিন্তু দিল থেকে জুলুমের বাসনা নির্মূল করা হয়নি। সেটি বহাল আছে এবং নিজের কাজ করেযাচ্ছে।
নবী-রাসুলরা আল্লাহপ্রদত্ত সব শক্তি এবং নিজেদের পুরো মনোযোগ ব্যয়করেছেন প্রকৃত অর্থে পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরির কাজে। তারা শুধু রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতাকেনিজেদের দৃষ্টিভূত করেননি। বরং অনুভূতির জ্বলন তৈরি, ঈমান-আকিদাকে মন-মগজে সুদৃঢ়করণএবং ওই আখলাক সৃষ্টির প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়েছেন, যাতে উপনিবেশ ও অভ্যন্তরীণ কোনোদাসত্বেরই সুযোগ ছিল না। যার কারণে মানুষ অন্যের গোলামিও বরদাশত করত না এবং অন্যেরওপর নিজের গোলাম আরোপ করার মনোবাসনাও পোষণ করত না, যার ফলে অন্যের শিকারেও পরিণতহতো না আবার অন্যকেও নিজেদের শিকারে পরিণত করত না। মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহের (সা.)দৃষ্টান্ত দেখুন! তাঁর পাশে আত্মত্যাগী, উত্সর্গকারী যে বিশাল জামাত জড়ো হয়েছিলেনতাদের দ্বারা তিনি যে কোনো কাজ আঞ্জাম দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তাদের চারিত্রিকউত্কর্ষ ও মানবিকতা উন্নয়নে তাঁর সব সামর্থ্য ব্যয় করেছেন। তিনি মানবতাকে এমন কোনোচোখ ধাঁধানো আবিষ্কার কিংবা তথ্যপ্রযুক্তি দেননি ইউরোপের বিজ্ঞানীরা, যা এ যুগেদিয়েছেন। কিন্তু তিনি আবু বকর, ওমর, উসমান, আলী [রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমআজমাঈন]-এর মতো কিছু মানুষ তৈরি করে গেছেন যারা মানবতার জন্য রহমত ও বরকতের ভাণ্ডারহিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। আজও যদি মানবতাকে প্রশ্ন করা হয়, তারা শাসনকর্তৃত্ব ওনেতৃত্বের জন্য আবু বকরের (রা.) মতো মানুষ চায় নাকি সর্বাধুনিক আবিষ্কারগুলো হাতেরনাগালে চায়। নিশ্চয় তাদের কাছ থেকে উত্তর আসবে—আবু বকরের (রা.) মতো মানুষই তাদেরবেশি প্রয়োজন। কেননা তারা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি এবং আবিষ্কারগুলো ভালোভাবেইপর্যবেক্ষণ করে দেখছে, প্রকৃত মানুষের অবর্তমানে এসব দুনিয়ার জন্য মসিবত ও ধ্বংসেরবার্তাবাহক।
আমি বারবার বলেছি এবং বলব, সবচেয়ে অগ্রগণ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কাজহচ্ছে, মানুষকে প্রকৃত অর্থে মানুষ বানাতে হবে। তখন তার মধ্যে গোনাহ ও জুলুমেরবাসনা নির্মূল হবে, নেক ও খেদমতের জযবা সৃষ্টি হবে। মানুষের জীবনধারায় হাজারোপ্রতিকূলতা সৃষ্টি হয়, মানবিক জীবনে অসংখ্য সমস্যা ও সঙ্কট দেখা দেয়, ভারি ভারিতালা পড়ে, আর এসব সঙ্কট ও তালা খোলার একটি মাত্র চাবি, এটাকে মুক্তির মহাতন্ত্র, মূল চাবিকাঠি (গধংঃবত্ শবু) হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। এ চাবিকাঠি আল্লাহর প্রেরিতনবী-রাসুলদের কাছে ছিল। একমাত্র তাদের সঙ্গে সম্পর্ক কায়েমের মাধ্যমেই এটা অর্জিতহয়। এই চাবিকাঠি হচ্ছে, আল্লাহর মহান সত্তার প্রতি নিটোল বিশ্বাস এবং তাঁর ভয়। এইচাবিকাঠি দ্বারাই মানবিক জীবনের সব সমস্যা ও সঙ্কট অতি সহজে দূরীভূত হয় এবং জীবনেরসব আবিলতা মুক্ত হয়। মনে করুন, পয়গাম্বরদের হাত বৈদ্যুতিক সুইচের ওপর। তারা ওইসুইচে টিপ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো ঘর আলোকিত হয়ে গেল। যাদের আঙুল ওই সুইচ পর্যন্তপৌঁছবে না তারা ঘর আলোকিত করতে পারবে না।এদেশ স্বাধীন করতে আপনারা সর্বাত্মকচেষ্টা-সাধনা করেছেন, ত্যাগের পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন, নেতাদের দেখানো পথে গমন করেছেন।ফলে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আপনাদের অর্জিত হয়েছে। এখন মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধপ্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন করে আপনাদের চেষ্টা-সাধনা করতে হবে। প্রকৃত স্বাধীনতাঅর্জনের এটাই একমাত্র পথ। আর এটা ওই পথ যে পথের নির্দেশ করেছেন আল্লাহর প্রেরিতনবী-রাসুলরা, যে পথে গমন করে গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন অনুসারীরা। তারাদুনিয়াতে প্রকৃত মানুষের নমুনা প্রদর্শন করেছেন। এ পথের পাথেয় হচ্ছে ঈমান, একিন এবংখোদভীতি। প্রকৃত খোদাভীতি, তাজা ঈমান এবং জাগ্রত কলব নবী-রাসুলদের ছাড়া আর কোথাওমিলবে না। এটাই তাদের ভাণ্ডার, এ ভাণ্ডার থেকে প্রয়োজনীয় অংশগ্রহণ করতে আমাদের কোনোলজ্জা-সংকোচ থাকা উচিত নয়। আজ যদি এসব গুণ অর্জন এবং প্রচার-প্রসারে আজাদিসংগ্রামের মতো ত্যাগ-তিতিক্ষার সূচনা হয়, উপনিবেশ বিতাড়নে যে সাধনা করা হয়েছে সেসাধনা যদি করা হয়, তবে দেশের চেহারাই ভিন্নরূপ ধারণ করবে। অর্জিত হবে প্রকৃত অর্থেশান্তি ও নিরাপত্তা। বন্ধ হবে দাসত্বের চলমান ধারা। দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা এবংজীবনের প্রকৃত স্বাদ তখনই হাসিল হবে।